অযথা সময়ক্ষেপণ করে সরকারে থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমাদের নেই: আসিফ নজরুল

প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র মেরামতের মৌলিক শর্ত পূরণ করতে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে অতিজরুরি সংস্কারগুলো করার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে আজ শনিবার প্রেস উইংয়ের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই কথা জানান।

আসিফ নজরুল বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, আমাদের এই সরকারের অযথা সময়ক্ষেপণ করে সরকারে থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র মেরামতের মৌলিক শর্ত পূরণ করার জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কারগুলো অতিজরুরি, সেগুলো করার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা চলে যেতে চাই। এটা নিয়ে কোনোরকম দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবকাশ নেই।

সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝির মধ্যে থেকে আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী। যদি তারা রাজি থাকেন, রোজার মধ্যেও আলোচনা চলবে। আর রাজনৈতিক দলগুলো যে দ্রুত নির্বাচন চান, আমি মনে করি সেটা বলার অধিকার তাদের আছে এবং দ্রুত বলতে কী, সেটা (তারা) স্পেসিফাই করে বলেননি।

নির্বাচনের সময়রেখা নিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সময়রেখা নিয়ে বারবার আমাদের প্রধান উপদেষ্টা এবং তার পক্ষে প্রেস সেক্রেটারিও ক্লেরিফাই করেছেন। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। আবার বর্ষার কথা বিবেচনা করে ২০২৬ সালে সেটা এগিয়ে এপ্রিল বা মার্চে হতে পারে।

আশু করণীয় কাজগুলো করতে কত সময় লাগতে পারে, জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, ছয় মাসের মতো সময় লাগতে পারে। আবার কিছু সংস্কার এক মাসেই হয়ে যাবে।

সরকারের সহনশীলতা, অবাধ মতপ্রকাশের পরিবেশ ও গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্রে সরকারের অসীম শ্রদ্ধাবোধের কারণে স্বৈরাচার মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে বলে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন আইন উপদেষ্টা।

Comments

The Daily Star  | English
Dhaka traffic jam Jamaat rally 2025

Dhaka choked by gridlock as thousands head to Jamaat’s rally

Around 10,000 Jamaat volunteers were deployed to manage the crowd and coordinate traffic flow, particularly around Shahbagh

1h ago